‘ওরে নীল দরিয়া আমায় দেরে দেরে ছাড়িয়া’ কিংবা ‘তুমি কি দেখেছো কভু জীবনের পরাজয়’- এমন অসংখ্য কালজয়ী গানের শিল্পী আবদুল জব্বার এখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬২০ নম্বর কেবিনে কাতরাচ্ছেন।
দুটো কিডনি নষ্ট হয়ে তিন মাস ধরে হাসপাতালে থাকা সংগীতশিল্পী আবদুল জব্বারকে অর্থাভাবে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে পারছে না পরিবার ।
তিনি বলছেন, “আমার বয়স তো শেষের দিকে। চিরদিন বাঁচব না। কিন্তু মৃত্যুর আগে অনুরোধ, উন্নত চিকিৎসার জন্য আমাকে দেশের বাইরে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হোক।”
আব্দুল জব্বারের ডায়ালাসিসে প্রচুর টাকা লাগছে বলে তার ছেলে বাবু জব্বার জানিয়েছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বিশ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই টাকা শেষ। একটা ইঞ্জেকশনের দাম ১২ হাজার টাকা। প্রতি সপ্তাহে একটা করে ইঞ্জেকশন দিতে হয়। আর্থিক সংকটে পড়েছি আমরা।
“আর্থিক সংকটে বাবাকে বিদেশে নিতে পারছি না। উনাকে বাইরে নিলে যে টাকা খরচ হবে সেই টাকা আমাদের কাছে নেই। মাঝে উনার শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ ছিল। কাউকে চিনতে পারছিলেন না। কিন্তু এখন খানিকটা ভালো। কথাও বলছেন। ডাক্তাররা বলছেন, বাইরে নিয়ে কিডনি দুটো পরিবর্তন করা জরুরি।”
কথাগুলো বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন বাবু। বললেন, “আমিই বাবাকে কিডনি দেব। কিন্তু তাকে তো দেশের বাইরে নিতে হবে। টাকা পাব কই?”
এই দুঃসময়ে শিল্পীর গানের রয়্যালিটি ঠিকমতো পেলে চিকিৎসা কিছুটা হলেও এগিয়ে যেত।
তবে বাবুল বলছেন, “বাবার গানের রয়্যালিটি অন্য শিল্পীরা নিয়ে যাচ্ছে। আর অন্যদিকে বাবা হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে। এটা সত্যিই খুব কষ্টের।”
তিনি আশা করছেন, প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা পেলে অবশ্যই বাবা সুস্থ হয়ে ফিরবেন। ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সংগীতশিল্পীর পাশে দাঁড়িয়েছেন। হাসপাতালের কেবিনের ফি মওকুফ করেছেন তিনি।